শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৬

নামাজের গুরুত্ব

ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত তথা নামাজ।
আল্লাহর নিকট নামায অতি মর্তবার ও মর্যাদারএবাদত। আল্লাহর নিকট
নামায অপেক্ষা অধিক প্রিয় এবাদত আর নাই। আল্লাহ পাক স্বীয় বন্দাগনের
উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ করিয়াছেন। যাহারা দৈনিক পাঁচ
ওয়াক্ত নামায নিয়মিত পড়িবে, তাহারা (বেহেশতের মধ্যে অতি বড় পুরষ্কার
এবং) অনেক বেশী ছওয়াব পাইবে (আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় হইবে)। যাহারা
নামায পড়েনা তাহারা মহা পাপী।
হাদীস শরীফে আছেঃ ‘যে ব্যক্তি উত্তমরুপে ওযূ করিয়া ভয় ও ভক্তি সহকারে
মনোযোগের সহিত রীতিমত নামায আদায় করিবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ
আয়ালা তাহার ছগীরা গোনাহসমূহ মাফ করিয়া দিবেন এবং বেহেশতে স্থান
দিবেন।’
অন্য হাদীসে আছে, হযরত রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ফরমাইয়াছেন ‘নামায দ্বীনের (ইসলাম ধর্মের) খুঁটি স্বরপ। যে উত্তমরুপে
নামায কায়েম রাখিল, সে দ্বীনকে (দ্বীনের এমারতটি) কায়েম রাখিল এবং
যে খুঁটি ভাঙ্গিয়া ফেলিল, (অর্থাৎ নামায পড়িল না) সে দ্বীনকে (দ্বীনের
এমারতটি) বরবাদ করিয়া ফেলিল।’
অন্য হাদীসে আছে, ‘কিয়ামতে সর্বাগ্রে নামাযেরই হিসাব লওয়া হইবে।
নামাযীর হাত, পা এবং কিয়ামতে সূর্যর মত উজ্জ্বল হইবে; বেনামাযীর
ভাগ্যে তাহা জুটিবে না।’
অন্য এক হাদীসে আছে, কিয়ামতের মাঠে নামাযীরা নবী, শহীদ এবং
ওলীগনের সঙ্গে থাকিবে এবং বেনামাযীরা ফেরাউন, হামান এবং কারুণ
প্রভৃতি বড় বড় কাফিরদের সঙ্গে থাকিবে।
(নামায় আল্লাহর ফরজ) অতএব, প্রত্যেকেরই নামায পড়া একান্ত আবশ্যক।
নামায না পড়িলে আখেরাতের অর্থাৎ, পরকাল জীবনের ক্ষতি তো আছেই,
ইহজীবনেরও ক্ষতি আছে।অধিকন্তু যাহারা নামায না পড়িবে,
কিয়ামতের ‍দিন তাহাদিগকে কাফিরদের সমতুল্য গণ্য করা হইবে। আল্লাহ
বাচাঁন! নামায না পড়া কত বড় অন্যায়। (অতএব হে ভাই-ভগ্নিগণ! আসনি, আমরা
সকলে মিলিয়া অত্যন্ত যত্ন সহকারে নামায পড়ি এবং আসমান জমীনের
সৃষ্টিকর্তা সর্বসক্তিমান আল্লাহর গজব ও দোযখের আযাব হইতে বাচিঁয়া
বেহেশতের অফুরন্ত নেয়ামতভোগী হইয়া তাঁহার প্রিয়পাত্র হই।)
পাঁচ ওয়াক্ত নামায সকলের উপর ফরজ। পাগল এবং নাবালেগের উপর ফরজ
নহে। ছেলে-মেয়ে সাত বছর বয়স্ক হইলে তাহাদের দ্বারা নামায পড়ান
পিতামাতার উপর ওয়াজিব। দশ বৎসর বয়সে যদি ছেলে-মেয়ে নামায না পড়ে,
তবে তাহাদিগকে নামায পড়ানোর জন্য জোর খাটাইবে দরকার হলে মারবে;
ইহা হাদীসের হুকুম।
নামায কাহারও জন্য মাফ নাই। কোন অবস্থায়ই নামায তরক করা জায়েয নহে।
রুগ্ন, অন্ধ, খোড়া, আতুর, বোবা, বধির যে যে অবস্থায় আছে, তাহার সে
অবস্থাতেই নামায পড়িতে হইবে। অবশ্য যদি কেহ ভুলিয়া যায় বা ঘুমাইয়া
পড়ে, ওয়াক্তের মধ্যে স্বরণ না আসে বা ঘুম না ভাঙ্গে, তবে তাহার গোনাহ
হইবে না বটে; কিন্তু স্বরন হওয়া এবং ঘুম ভাঙ্গা মাত্রই কাযা পড়িয়া লওয়া
ফরয (এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হইতে হইবে)। অবশ্য তখন মকরুহ ওয়াক্ত হইলে,
(যেমন সূর্যর উদয় বা অস্তের সময় যদি স্বরণ আসে বা ঘুম ভাঙ্গে) তবে একটু
দেরী করিয়া পড়িবে, যেন মকরুহ ওয়াক্ত চলিয়া যায়। এইরুপে বে-হুশীর
অবস্থায় যদি নামায ছুটিয়া যায়, তবে তজ্জন্য গোনাহ হইবে না। অবশ্য হুশ
আসা মাত্রই তাহার ক্বাযা পড়িতে হইবে।

মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৬

বিসমিল্লায় গলদ বলা শুদ্ধ নয়।

বাংলাতে একটি বাগধারা আছে বিসমিল্লায় গলদ( মানে শুরুতেই ভূল)غلط /গলদ আরবী শব্দ মানে ভূল
আমরা কোন কাজের আরম্ভকালীন সময়ে ভূল বুঝাতে এ শব্দ ব্যাবহার করে থাকি।কিন্তু বাস্তবে কী এ বাগধারা প্রথমেই ভূল বুঝায়?
গলদ মানে ভূল সুতরাং বিসমিল্লায় গলদ মানে  বিসমিল্লায় ভূল।
উদ্দেশ্য শুরুতেই ভূল বুঝানো কিন্তু বাগধারায় বুঝায় বিসমিল্লায় ভূল।
যদি না জেনে বলে থাকি অন্য কথা।আর জানার পরও যদি বলে থাকি তাহলে তা ঈমানের জন্য কত ভয়ঙ্কর! ঈমান চলে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
মদীনায় ইসলাম আগমনের পর সাহাবায়ে কেরাম ইয়াহুদীদের দেখাদেখি  ও নবী করীম(দঃ)কে  راعنا বলতো।তারা উদ্দেশ্য নিতো খারাপ অর্থ আর মুসলিমরা উদ্দেশ্য নিতো ভাল অর্থ(মানে আমাদের দিকে খেয়াল করুন)সাহাবায়ে কেরাম راعنا বললে তারা পরস্পরে হাসাহাসি করতো।তখন আল্লাহ পাক এরশাদ ফরমান لا تقولواراعنا তোমরা রাঈ'না বলো না। আর ঈমানদারদেরকে আল্লাহ পাক শিখিয়ে দিলেন وقولواانظرنا তোমরা উনযুরনা ( আমাদের দিকে খেয়াল করুন )বল।আর ঈমানদারদেরকে তাদের পরিণতি সম্পর্কে বলেন واسمعوا وللکافرین عذاب الیم কাফেরদের জন্য জঘন্য শাস্তি রয়েছে। উল্লখিত আলোচনা এমন শব্দের ক্ষেত্রে যা ভাল মন্দ উভয় ধরণের অর্থের সম্ভাবনা রাখে।
আর যে শব্দ খারাপ ছাড়া ভাল অর্থ দেয় না তা কত ভয়ানক একটু ভাবা  দরকার।