শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

সুড়ঙ্গ পথে বৃটেনে গোপন মাদ্রাসা

আন্তর্জাতিক খৃষ্টচক্র ইসলাম ও মুসলমানদের সর্বনাশ করে দেওয়ার জন্য এ পর্যন্ত যে সব উপায় ,উপকরণও পদ্ধতি বের করেছে,তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইংলেন্ডের গভীর অরন্যে এক গুপ্ত সুড়ঙ্গ।মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী,রাসুলুল্লাহর অবমাননা,সাহাবায়েকেরাম সম্পর্কে খারাপ ধারণা,ইতিহাস বিকৃতকরণ,সহিহ দাওয়াতি আন্দোলনকে বাধা প্রধানের উদ্দেশ্যে বিজন বনের এক গুপ্ত সুড়ঙ্গে খৃষ্টানরা বড় আকারের রীতিমত মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করেছে।ভারতের       
লক্ষ্নৌস্থ নদওয়াতুল উলামা কর্তৃক প্রকাশিত "তামীরে হায়াত"এক চমকপ্রদ বর্ণণা বেরিয়েছে।
প্রতিবেদনের মূল বিষয় হচ্ছে -ভারত  বিভক্তির পূর্বে  আলি গড়ের তখনকার জমিদার  নবাব ছাতাবীইংরেজদের প্রথম কাতারের সহযোগী  ছিলেন ।মুসলিমলিগও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে সম্পর্কহীন এ নবাব ভারতে বৃটিশ প্রভুত্ব প্রতিষ্টায় ইংরেজদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।আনুগত্যের  স্বৃকৃতি স্বরুপ ইংরেজ সরকার কর্তৃক তিনি উত্তর প্রদেশের গভর্ণর নিযোক্ত হন।যে সব ইংরেজ কালেক্টর পোষ্টিং নিয়ে আলিগড়ে আসতেন ,নবাবের সাথে তাদের মধুরওগভীর সম্পর্ক গড়ে উঠতো।অনেক সময় আগ্রার কমিশনারও তার সাথে মিলিত হতেন।ইংরেজদের উচ্চপদস্থ অফিসারদের সাথে নবাবের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড়।একদা বৃটিশ সরকার ভারতের সব প্রাদেশিক গভর্ণরদের বৃটেনে পরামর্শের জন্য ডেকে পাঠান।উত্তর প্রদেশের গভর্ণর হিসাবে নবাবও বৃটেনে গিয়ে পৌছান।যে সব কালেক্টার ও কমিশনার সরকারী চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ইংলেন্ডে ফিরেন একে একে সবাই তার সাথে সাক্ষাত করতে এল।এসব উচ্চপদস্থ অফিসারদের  মধ্যে একজন কলেক্টার ছিলেন নবাব সাহেবের  ব্যক্তিগতভাবে  অত্যন্ত ঘনিষ্ট এবং রাজনৈতিক চিন্তা চেতনায় একদম কাছের।তিনি তাকে সম্বোধন করে বল্লেন,"নবাব সাহেব ,আপনি যে বৃটেনে তাশরীফ এনেছেন এজন্য সাধুবাদ জানাই।
চলুন যাদুঘর  থেকে শুরু করে একানকার অত্যাশ্চর্য  দর্শনীয় বস্তু গুলো আপনাকে দেখাই।এখানে হাজার বছরের এমন পূরনো স্মৃতি চিন্হ আছে যা আপনি কখনো চোখে দেখেননি এবং কানে শুনেননি।"
নবাব বললেন "যাদুঘরের নিদর্শন গুলোতো আমি ইতিমধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ করেছি।ইংলেন্ডে যারা আসেন তারা এসব দর্শনীয় স্থান সমূহ পরিভ্রমণ করে থাকেন।অবশ্য আপনি আমাকে এমন বস্ত দেখাতে যা কোন ভিনদেশী এখানে এসে দেখতে পারে না ।কালেক্টর এধরণের কী বস্তু হতে পারে আমি ভেবে বলব।
দু দিন পর কালেক্টর বল্ল ,নবাব সাহেব !আমি ইতিমধ্যে খোজ নিয়েছি।আমি এমন দেখাব যা কোন দিন  কোন ভিনদেশী দেখেনি।নবাব এ প্রস্তাবে  খুশী বললেন ঠিক আছে।কালেক্টর সরকারের অনুমতি নেওয়ার জন্য নবাবের পাসপোর্ট  চেয়ে নিলেন ।দু দিন পর কালেক্টর সরকারের লিখিত অনুমতি পত্র নিয়ে  অতিথি শালায় পৌছে অত্যাশ্চর্য বস্তুদেখার কর্মসূচী নির্ধারণ করেন।কালেক্টর বল্ল একাজে সরকারী গাড়ি ব্যবহার করা  যাবে না,তাই আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে হবে।
পরদিন ইংরেজ কালেক্টর নবাবকে অত্যাশ্চর্য বস্তু পরিদর্শনে বের হলেন।শহর নগর পেরিয়ে জঙ্গলাকীর্ণ এক জায়গায় উপস্থিত হলেন।সামনে ছোট একটি সড়ক।যত সামনে  এগোয় তত গভীর অরণ্য দেখা যায় ।এই পথে কোন যাত্রী বা কোন পথিক চোখে পড়ল না ।এভাবে প্রায় আধ ঘন্টা চলার পর নবাব সাহেব জিজ্ঞেস করলেন ,কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?কী দেখাতে চাচ্ছেন?এখানেতো মানব বসতি নাই,নেই কোন মানুষের আনাগোনা।কোন জঙ্গলী জানুয়ার দেখাবেন না কোন জলজ প্রাণী? কালেক্টর বল্ল এইতো আর সামান্য পথ এগুলে গন্তব্যে পৌছে যাব।
অল্পক্ষণ পরএক বিরাট দরজার সামনে তারা গাড়ি থেকে নামলেন।দরজাটি দেখলে মনে হয় বিরাট কোন ভবনের প্রধান ফটক।এই গেইটের পর এবং উভয় পার্শে আছে সশস্ত্র সৈন্যের সতর্ক প্রাহারা।কালেক্টর গাড়ি থেকে নেমে পাসপোর্ট এবং লিখিত সরকারী অনুমতি পত্র গেইটে জমা দেন ।ভিতরেযাওয়ার অনুমতি লাভ করেন।কিন্তু গেইটে কর্মকর্তা বলেদেন আপনারা যে গাড়িতে করে এসেছেন তা এখানে রেখে যেতে হবে।একটু সামনে এগুলে যে গাড়ি গুলো পাবেন যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারেন।
নবাব সাহেব দরজাটি পর্যবেক্ষন করে বুঝতে পারলেন যে,এটা কোন প্রাসাদের দরজা নয়এবং উভয় পার্শে যে দেওয়ার রয়েছে তা কন্টকযুক্ত লতাগুলো ও ঘন গাছ পালা দ্বারা সুরক্ষিত।কোন মানুষের পক্ষে এ দেওয়াল অতিক্রম করা সম্ভব নয়।দু দেয়ালের মাঝখান দিয়ে গাড়ি চলতে লাগল,সুনিবিড় জঙ্গল ও বৃক্ষলতা ছাড়া আর কিছু দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না নবাব সাহেব কিছুটা ভীত হয়ে বললেন গন্তব্যে পৌছতে আর কত সময় লাগবে? কালেক্টর বল্লেন এইতো পৌছে গেছি।ঐযে প্রাসাদ দেখা যাচ্ছে আমরা সেখানে যাবো।সাথে সাথে এ কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন যে প্রাসাদে প্রবেশের পর থেকে ফিরে আশা না পর্যন্ত কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না ।একেবারে চুপচাপ থাকবেন।কোন প্রশ্ন থাকলে বাসায় এসে করবেন,আমি নিজেই উত্তর দেবো। নবাব বল্লেন ঠিক আছে।
প্রাসাদের কিছু দূর থেকেই গাড়ি রেখে পায়ে হেটে চললেন।‌‌‌‍বিপুল সংখ্যক কক্ষ সম্পন্ন এ প্রাসাদটি ছিল গণচুম্বী ও অতিকায় প্রাসাদে ঢুকতেই দেখা গেল দাড়ি ও গোফওয়ালা এক যুবক,পরনে রয়েছে  আরবী জুব্বা ও মাথায় পাগড়ী।অপর কক্ষ আরও দু জন যুবক বেরিয়ে প্রথমোক্ত যুবককে আসসালামু আলাইকুম বললো।যুবকটি জবাবে ওয়াআলাইকুমুস সালাম বলে বলল কেমন আছেন?নবাব সাহেব আশ্চর্য হয়ে যুবকটির সাথে কথা বলতে চাইলেন ।কিন্তু কালেক্টার দ্রুত ইশারা করল যেন কোন কথা না হয়।অতপরঃ সে নবাবকে একটি কোটার সামনে দাড় করালো।দেখা গেল  আরবী পোষাক পরিহিত বিপুল ছাত্র মাটির বিছানায় বসে সবক নিচ্ছে।যেমন মাদ্রাসার তালিবে ইলিম উস্তাদের কাছ থেকে নিয়ে থাকেন।ছাত্ররা আরবী এবং ইংরেজী ভাষায় উস্তাদের কাছে প্রশ্ন করছে এবং উস্তাদ  সুন্দর ও সাবলীল ভঙ্গিতে এসব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।কালেক্টর এভাবে পর্যায় ক্রমে প্রতিটি কক্ষ ঘুরে ফিরে দেখান ও প্রতিটি কক্ষে যে সব বিষয়েরর  তালিমও তারবিয়্যাত  হচ্ছে তাও দেখালেন।নবাব অবাক বিস্ময়ে দেখলেন যে কোন কক্ষে কেরাত শিখানো হচ্ছে,কোথাও কোরআন মাজিদের অর্থ ওতাফসীর পড়ানো হচ্ছে,কোথাও বুখারী ও মুসলিম শরীফের সবক চলছে,কোথাও মাসআলা নিয়ে বিশদ আলোচনা চলছে,কোথাও ইসলামী পরিভাষার উপর বিশেষ  অনুশীলন হচ্ছে,এক কক্ষে দেখলেন রীতিমত দু দলের মধ্যে ধর্মীয় তত্ত্ব নিয়ে আনুষ্টানিকভাবে বিতর্ক চলছে।নবাব এসব দেখে কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে গেলেন এবং ছাত্রের সাথে কথা বলার ইচ্ছা জাগলো তার ,কিন্তু কালেক্টর তাৎক্ষনিকভাবে চুপ থাকার ইশারা দিলেন।এসব দর্শনীয় বস্তু দেখা শেষ হলে তারা যখন বাসায় ফিরে আসলেন  তখন নবাব সাহেব বল্লেন ,এতবড় দ্বীনি মাদ্রাসা যেখানে ধর্মের প্রতিটি বিষয়ে উন্নত পদ্ধতিতে তালিম দেওয়া হচ্ছে এবং ইসলামের  সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়  নিয়ে বুদ্ধি বৃত্তিক আলোচনা হচ্ছে  দেখে পুলক অনুভব করছি।কিন্তু এ সব মুসলিম ছাত্রদেরকে ঐ দূরবর্তী এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছে  কেন?কালেক্টর বললেন নবাব সাহেব ঐ সব ছাত্রের মধ্যে একজন ও মুসলিম নেই।সব খৃষ্ট্রান মিশনারী ।নবাব সাহেব আরও আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন এর কারণ কী?কলেক্টর বল্ল সুড়ঙ্গ পথে প্রতিষ্টানে পড়ালেখা শেষ করে এসব ছাত্রকে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থান বিশেষ করে মধ্য প্রাচ্যে পাঠানো হয়।সেখানে তারা নানান ছলেবলে কৌশলে মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন  হিসাবে  অথবা ছোট বাচ্ছাদের কোরআন শিক্ষার গৃহ শিক্ষক হিসাবে অথবা কোন মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস মুফতি  হিসাবে ঢুকে পড়ে।বেতনের জন্য তারা কোন বাড়াবাড়ি করে না। যেহেতু  তারা পড়ালেখা বিশেষত  আরবি সাহিত্য ওইসলামিয়্যাতে পারদর্শী ,তাদের নিয়োগ দিতে কর্তৃপক্ষ দ্বিধা করে না ।অনেক সময় তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জনগনের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করে ।কোন দেশের মসজিদে উপস্থিত হয়ে বলে,আমরা ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম।আমাদের অনেকে আলআযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারেগ ।নিজ দেশে কোন বড়  দ্বীনি মাদ্রাসা বা দ্বীনি পরিবেশ বা পর্যাপ্ত মসজিদ না থাকায় আমরা এখানে এসেছি।শুধু দু  মুঠো ভাত ও মাথা গুজবার একটা ঠাই দিলেই চলবে।আমরা আল্লাহর দ্বীনের জন্য সব কোরবন দিতে প্রস্তুত ।এ ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ঢুকে গিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে দেয় ,তা মুসলিমদের মাঝে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন  পদ্ধতিও বিভিন্ন পক্রিয়ায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।বিভেদ ও অনৈক্য তৈরীর জন্য তারা অত্যন্ত তৎপর থাকে এবং একবার বিভেদের বীজ বপন করতে পারলে তারা ইন্ধন যুগিয়ে মুসলিমদের বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করে রক্তপাত ঘটায় ।সামান্য একটা ইসলামি বিষয়কে  কেন্দ্র দাঙা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে।এসব ছদ্মবেশী আলেমকে তাদের গোপন মাদ্রাসা থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া আছে যে এমন কাজ কর যাতে মুসলিমরা পরস্পরে যুদ্ধ,লড়াই করতে থাকে।সে পূরনো divide and rule policy ।মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন গির্জার পাদ্রিদের বার্ষিক সম্মেলনে জাভয়ার(zavyar)নামক এক পাদ্রি সভাপতির ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন ,মুসলিমদের সাথে তর্কে আমরা জয়ী হতে পারবো না ।তাই আমরা পলিসি নিয়েছি তাদের মধ্যে ঝগড়া ও বিভেদ লাগাতে ।আমাদের কামিয়াবীর পথ এটাই।সুতরাং সব দেশে দেশে সবাইকে  কার্যকরী ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।খৃষ্টানদের উক্ত  গোপন মাদ্রাসার  বিশেষ উদ্দেশ্য হচ্ছে নবী করীম (দঃ)এর মান সম্মান যেভাবেই ভুলুন্ঠিত ও ক্ষুন্ন করা,যাতে মুসলিমরা ধর্ম থেকে দূরে সড়ে পড়ে।কেবল রাজনৈতিক রাজনৈতিক অনৈক্য ও  বিভেদে ইসলাম শেষ হবে না। কালেক্টরের এ সব কথায় নবাব বিস্ময়ের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন।
সারা বিশ্বের খৃষ্টানরা এই পরিকল্পনা উপমহাদেশে ইংরেজরা তাদের শাসনামলে ভোলানাথ শর্মাকে দিয়ে  বিদ্বেষ পূর্ণ গ্রন্থ "রঙ্গিলা রাসূল" লেখিয়েছে।এই গ্রন্থটি ছিল নবীজির শানে বিশেষত ازواج مطهرات নামে পরিচিত হযরতের বিদূষী ও পূর্ণবতী স্ত্রীদের নিয়ে কৌতুকপূর্ণ মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ ,ইংরেজদের বিরোদ্ধে জিহাদ করা হারাম এ ফতয়া জারি করার জন্য  অনেক আলেমকে তারা ভারায় খাটায়।অতপরঃ তারা পাঞ্জাবের গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে তারা নবী বানালো।তার মাধ্যমে ইংরেজরা বিপুল সংখ্যক ধর্ম সংক্রান্ত গ্রন্থ লেখিয়েছে-যা ঐ গোপন সুড়ঙ্গ পথের ষড়যন্ত্রের ফসল।গোলাম আহমদ কাদিয়ানী স্বয়ং তার লিখিত কিতাবে স্বীকার  করেছেন যে আমি ইংরেজ সরকারের আনুগত্য করার জন্য এবং তাদের বিরোদ্ধে জিহাদ হারাম -এ কথা প্রচারের উদ্দেশ্যে 50 হাজারের ও বেশী প্রচারপত্র ,পুস্তিকা,সাময়িকী,ও গ্রন্থ রচনা করেছি,তাএক জায়গায় জমা করা হলে পঞ্চাশটি আলমারী ভর্তি হয়ে যাবে।এসব কিতাব আমি আরব বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জনমত সৃষ্টির জন্য প্রেরণ করেছি।(তিরয়াকুল কুলুব,মাতবায়ে ফিয়াইল ইসলাম ,কাদিয়ান,পৃঃ15, সিরাতাই কাইসারিয়াহ,পৃঃ03)
আসলে এসব কিতাব খ্রৃষ্টান পন্ডিতরা লিখে দিয়েছে বা তারা তথ্য সরবরাহ করেছে।নইলে গোলাম আহমদের এমন কী যোগ্যতা আছে?
এভাবে প্রায় আজ থেকে 25/30বছর আগে আমেরিকায় রাশাদ খলিফা নামক এক ব্যাক্তি ঘোষণা দিলেন যে তিনি কম্পিউটারের মাধ্যমে 19 অক্ষর দিয়ে কুরআনের যে কোন আয়াতের সত্যতা প্রমাণ করবেন। মানুষ যখন তার কথায় আস্থা স্থাপন করলো তখন সে ঘোষণা  কতিপয় আয়াত বিকৃত অবস্থায় আছে।সে আর ও বল্ল"আমার নাম যে খলিফা তা কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত সত্য " ।অতপর সে নিজেকে দাবী করে বসলো।জনগণ সন্দেহের বশীভূত হয়ে বিতর্কের ব্যবস্থা করলেন  এবং তার প্রস্তুতকৃত কম্পিউটারের মাধ্যমে হিসাব মিলাতে লাগলেন ।দেখা গেল সব ভূল ও মিথ্যা।মুসলিম আলিম গণ মুনাযারার জন্য(debate)তৈরী হয়ে গেলেন ,কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে রাশাদ খলিফার মৃত্যু হয়ে গেল।তার অনুসারীরা বিকৃত কোরআন আমেরিকার ঘরেঘরে চালানোর চেষ্টা করছে সুপরিকল্পিতভাবে ।মহান আল্লাহ তায়ালার কি অপূর্ব ফায়সালা!রাশাদতো দুনিয়া থেকে বিদায় নিলো ঠিকই কিন্তু গোলাম আহমদ কাদিয়ানির এখন ফিৎনাও রয়ে গেল ।আব্দুল হক বেনারশিতো চলে গেল তবে মুহাম্মাদিয়্যুন তথা খলফিদের ফিৎনা রয়ে গেল।কুখ্যাত সালমান রুশদীর(satanic verses)এর ব্যাপারে সন্দেহ হয় যে এটা ও হয়তো সেই গোপন সুড়ঙ্গ পথের প্রতিষ্টানে প্রস্তুতকৃত।ব্রিটিশ সরকার রুশদীর নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে  এবং ঐ ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্য লাখ লাখ পাউন্ড ব্যয় করে আসছে।আজ থেকে প্রায় 15 বছর পূর্বে ইংলেন্ডের কিছু বিত্তশালী শিখ ভারতীয় শিখদের খালিস্তান বানানোর বিরোধী ছিলেন এবং এ ব্যাপারে তারা ভারত সরকারের খালিস্তান বিরোধী নীতির কট্টর সমর্থক ছিলেন ।খালিস্তান প্রতিষ্টাকামী শিখরা তাকে হত্যার হুমকি দিলে সে ব্রিটিশ সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাইল।কিন্তু ইংরেজ সরকার তার নিরাপত্তার কোন ব্যবস্তা নিল না অতপরঃ তাকে নিরমমভাবে প্রান হারালেন।অথচ সালমান রুশদীর এমন কী বৈশিষ্ট্য যে তার নিরাপত্তার জন্য কঠোর ব্যবস্তা গ্রহণ করা হল।বাস্তব শুধু এখানেই শেষ নয় আয়াতুল্লাহ খোমেনি যখন তাকে হত্যার জারি করেন ,তখন ব্রিটিশ সরকার সালমান রুশদীর কারণে ইরানের সাথে কূটনৈতিক ছিন্ন,কাশ্মীরও ফিলিস্তিনের মুসলিমদেরকে জুলুম করে।
মাওদুদিবাদ তথা জামাতের প্রবর্তনকারী আবুল আলা মাওদুদী চিন্তা-চেতনা তার নিজের না সে একটা স্পিকার হিসাবে ব্যবহার হয়েছে এবংযা করেছে সুড়ঙ্গ পথ গোপন মাদ্রাসার ইশারায়?
এমনিভাবে জাকির নায়েক কি তাদের মত একজন, না অন্য কিছু,নিজ থেকে বলছে ,না বরং  ঐ সুড়ঙ্গ পথের কেরেশমা।