শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

সফর মাসের আমল

হিজরী সনের দ্বিতীয় মাস হচ্ছে সফর মাস।এ মাসে বিশেষ কোন আমল সহিহ হাদিসে বর্ণনা নেই।ইসলাম আগমণের পূর্বে লোকেরা এ মাসকে অশুভ মনে করত বিধায় ইসলাম এ ঘোষণা দিয়েছে যে আল্লাহ তাআলার কোন সময়ে অশুভ নেই , হাদিসে কুদসীতে এরশাদ হয়েছে লোকেরা সময়কে গালি দেয় অথচ আমিই সময় , হ্যা এতটুকু আছে যে কোন সময়ের ফযিলত বেশী আর কোন সময়ের কম বা কোন সময়ের ফযিলত বর্ণিত হয়নি।আর ফযিলত বর্ণিত না হওয়ায় কোন মাসকে অশুভ মনে করা বা কোন মাসের ফযিলত বর্ণিত হওয়ায় শুভ মনে করা সম্পূর্ণ অনৈসলামিক এবং কুপ্রথার অনুসরণ করা ছাড়া আর কিছু নয়।বার চাঁদের ফযিলত নামক কিছু বইয়ে অনেক আমলের কথা বর্ণনা আছে যা সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়নি, এগুলো শুধু কলেবর বৃদ্ধির জন্য লেখা হয়ে থাকে।
বাজারে প্রচলিত বইয়ে বা পঞ্জিকায় আখেরী চাহার শোম্বা বলে একটি কথা পাওয়া যায়,সেদিন নাকি রোজা রাখা,দান সদকা করা অনেক ফযিলত ।খুব ভালো করে মনে রাখা দরকার কোরআন ও হাদিসের কোথা ও আখেরী চাহার শোম্বা বলে কিছু নাই,সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুমদের আমল দ্বারা ও এ দিনের ফযিলত বুঝে আসে না । এটা  সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মনগড়া বিষয় কারণ আখেরী চাহার শোম্বা ফারসী শব্দ আর কোরআন ও হাদিসের ভাষা আরবী ,কোরআন হাদিসে কোথা ও এ আমল বর্ণিত হয়নি ,যদি থাকতো তাহলে অবশ্যই বর্ণিত হতো যেমন বর্ণিত আছে আশুরা লাইলাতুল কদর, দ্বিতীয়ত যদি বলা হয় হাদিস কুরআনতো  আরবীতে , ফারসী শব্দ পাওয়া যাবে কেমন করে? তাহলে বলতে হয় অবশ্যই এ শব্দ গুলোর সমার্থবোধক বা বিকল্প কোন শব্দ প্রয়োগ হইতো যেমন সালাতের বিকল্প হিসাবে নামাজের প্রচলন আছে আর সিয়ামের বিকল্প হিসাবে রোজার প্রচলন আছে,যেহেতু আখেরী চাহার শোম্বা না কোরআন হাদিসে আছে আর না এর বিকল্প ও নেই  তাই ইহা পালন করা বৈধ নহে।আল্লাহপাক সবাইকে কুপ্রথা থেকে বেচে তওফিক দান করুক آمين