শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭

মীলাদ ও জম্মদিবস


হিজরী সনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মাস হল রবিউল আউয়াল।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে জম্মগ্রহণ করেছেন,এ মাসে হিজরত করেছেন এবং এ মাসে ইন্তেকাল করেছেন ।
হিন্দ-উপমহাদেশে ১২ রবিউল আউয়ালকে কেন্দ্র করে নানাবিধ অনুষ্ঠান হয়।রবিউল আউয়াল আসলেই সিরাতুন্নবী আর মিলাদুন্নবী উৎসব পালনের ধুম পড়ে যায়।এ দিনে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জম্মদিন হিসেবে মিছিল,মিটিং,র্যালি,এমনকি বেপর্দা নারী দ্বারা স্বাগত মিছিলও বের করা হয়।সেমিনার সিম্পোজিয়ামে বক্তাদের মুখে নবী প্রেমের খই ফোটে।কিন্তু এই কথাগুলি অন্তরে প্রবেশ করে না ।নবীজী দ.এর সীরাত আলোচনা করা বা শোনা অবশ্যই নেআমতের কাজ,কিন্তু
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী কী শুধু  রবিউল আউয়ালেই সীমিত?
তাছাড়া যে ব্যক্তির জম্মদিবস পালন করছি তা সেই ব্যক্তির নৈতিকতার পক্ষে না বিপক্ষে ?তা কী ভেবে দেখেছেন?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় তেষট্টি বছর জীবিত ছিলেন এবং নবুওয়ত প্রাপ্তির পর তিনি তেইশ বছর জীবিত ছিলেন ,এ দীর্ঘ সময়ে কত রবিউল আউয়াল আগমন ও প্রস্থান করেছে কিন্তু কোন সময়ে জম্মদিবস পালন করেছেন একটি বর্ণনা নাই ।
সাহাবায়ে কেরাম নবীজির জন্য ব্যকুল ছিলেন এবং তারা রাসূল দ.এর জন্য মায়া মুহাব্বত কোন ক্রমেই কম ছিল না তথাপি তারাও এ দিবস পালন করবে দূরের কথা কেউ এধরণের উদ্ভট চিন্তা করেননি।নবীজি দ. ইন্তেকালের পরে প্রায় সোয়া লক্ষ্য সাহাবায়ে কেরাম জীবিত ছিলেন কিন্তু কেউ তা কেন পালন করেননি যা নবীর মুহাব্বতের পরিচায়ক ছিল?
যদি জম্ম দিবস পালন করা বৈধ হত তাহলে সাহাবায়ে কেরামগণের জম্ম দিবস পালন করতে দেখা যায় না কেন?যদি জম্নদিন পালন বৈধতা দেওয়া যায় আর সোয়া লক্ষ্য সাহাবায়ে কেরাম নবীজি দ. ইন্তেকালের পর জীবিত ছিলেন তাহলে বছরে এমন কোন দিন পাওয়া যাবে না যে একজন সাহাবী জম্ম গ্রহণ করেছেন।আর সাহাবায়ে কেরাম থেকে এ পর্যন্ত মিলালেতো দৈনিক কত বার যে জম্ম দিন পালন করতে হবে বলাই কঠিন ।জম্ম তারিখ পালন বৈধ হলে একই যুক্তিতে মৃত্যু দিন ও পালন করা বৈধতা দিতে হয়। সারা বছরই একদল আরেক দলে মৃত্যু দিবসের কষ্ট পালন করা কী ভাল দেখায়?তাছাড়া হতে পারে এ দিন এক পরিবারের একজনের জম্ম আরেক জনের মৃত্যু এমতাবস্থায় কি অনুভূতি হবে?
তাছাড়া জম্ম দিবস আর মৃত্যু দিবস পালন করা কী শুধু কাজ?আর কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নেই?

ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায় ঈসা আলাইহিস সালামকে আসমানে উঠিয়ে নেওয়ার প্রায় তিনশত বছর পর কিছু লোক বলে যে ঈসা আলাইহিস সালামের জম্মদিন  পালন করব তখনকার সময়ে যারা সত্যিকার অর্থে ঈসায়ী ছিল তারা বাধা প্রধান করলো।উদ্যোক্তারা বললো এতে খারাপের কি আছে সবাই একত্রিত হয়ে জীবনী আলোচনা হবে।ব্যস শুরু হয়ে গেল ক্রিষ্টমাস ডে।প্রথম প্রথম কিছু লোক গির্জায় জমায়েত হতো আর পাদ্রী ঈসা আলাইহিস সালামের জীবনী আলোচনা করতেন ,লোকেরা চলে যেত  মজলিশ শেষ হয়ে যেত,কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর  তা পুরাতন অনুভব হওয়ায় কিছু কবিতা আবৃত্তি ও আরম্ভ হলো,কিছু দিন যাওয়ার পর বাজনা ও নাচ সংযোজন হলো,এভাবে চলতে চলতে বর্তমানে ২৫ ডিসেম্বর নারী উপভোগ ও মদ নিয়ে সময় কাটানোর প্রচলন হয়ে গেল।অথচ তা শুরু হয়েছিল জীবনী নিয়ে আর কোথায় গিয়ে পৌছলো?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় আগমন দিন হয়েছিল এ নিয়ে ও বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। হাদীস দ্বারা রাসূল দ. এর জম্মদিন সোমবার ও জম্ম সন اصحاب الفيل  বা হস্তি বাহিনী যে বছর মক্কা শরীফে আক্রমন করেছিল সে বছরই রাসূলুল্লাহ দ. এর জম্ম জানতে পারি,কিন্তু কোন মাস ছিল?কত তারিখ ছিল ?হাদীসে তা জানা যায় না।এ কারণে ঐতিহাসিকদের মাঝে এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে
কারো কারো মতে, তিনি মুহাররম মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন।
অন্য মতে, তিনি সফর মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন।
কারো মতে, তিনি রবিউল আউআল মাসের ২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় হিজরী শতকের অন্যতম ঐতিহাসিক ও মাগাযী প্রণেতা মুহাদ্দিস আবু মা‘শার নাজীহ ইবন আব্দুর রহমান আস-সিনদী (১৭০হি:) এই মতটি গ্রহণ করেছেন।
অন্য মতে, তাঁর জন্ম তারিখ রবিউল আউআল মাসের ৮ তারিখ। আল্লামা কাসতাল্লানী ও যারকানীর বর্ণনায় এই মতটিই অধিকাংশ মুহাদ্দিস গ্রহণ করেছেন। এই মতটি দুইজন সাহাবী ইবনে আববাস ও জুবাইর ইবনে মুতয়িম রাদিয়াল্লাহু আনহুম  থেকে বর্ণিত। অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও সীরাতুন্নবী বিশেষজ্ঞ এই মতটি গ্রহণ করেছেন বলে তারা উল্লেখ করেছেন। প্রখ্যাত তাবেয়ী ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে মুসলিম ইবনে শিহাব আয-যুহরী (১২৫হি:) তাঁর উস্তাদ প্রথম শতাব্দীর প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও বংশধারা সম্পর্কে বিজ্ঞ ঐতিহাসিক তাবেয়ী মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর ইবনে মুতয়িম (১০০হি:) থেকে এই মতটি বর্ণনা করেছেন। কাসতালানী বলেন: ‘মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর আরবদের বংশ পরিচিতি ও আরবদের ইতিহাস সম্পর্কে অভিজ্ঞ ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সোয়াল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ সম্পর্কিত এই মতটি তিনি তাঁর পিতা সাহাবী জুবাইর ইবনে মুতয়িম থেকে গ্রহণ করেছেন। স্পেনের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফকিহ আলী ইবনে আহমদ ইবনে হাযম (৪৫৬হি:) ও মুহাম্মাদ ইবনে ফাতুহ আল-হুমাইদী (৪৮৮হি:) এই মতটিকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছেন। স্পেনের মুহাদ্দিস আল্লামা ইউসূফ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল বার ( ৪৬৩ হি:) উল্লেখ করেছেন যে, ঐতিহাসিকগণ এই মতটিই সঠিক বলে মনে করেন। মীলাদের উপর প্রথম গ্রন্থ রচনাকারী আল্লামা আবুল খাত্তাব ইবনে দেহিয়া (৬৩৩ হি:) ঈদে মীলাদুন্নবীর উপর লিখিত ‘আত-তানবীর ফী মাওলিদিল বাশির আন নাযীর’ গ্রন্থে এই মতটিকেই গ্রহণ করেছেন
অন্য মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ ১০ই রবিউল আউয়াল। এই মতটি ইমাম হুসাইনের পৌত্র মুহাম্মাদ ইবন আলী আল বাকের (১১৪হি:) থেকে বর্ণিত। দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আমির ইবনে শারাহিল আশ শা‘বী (১০৪হি:) থেকেও এই মতটি বর্ণিত। ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইবনে উমর আল-ওয়াকেদী (২০৭হি:) এই মত গ্রহণ করেছেন। ইবনে সা‘দ তার বিখ্যাত ‘‘আত-তাবাকাতুল কুবরা’’-য় শুধু দুইটি মত উল্লেখ করেছেন, ২ তারিখ ও ১০ তারিখ।
কারো মতে, রাসূলুল্লাহ সোয়াল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ ১২ রবিউল আউয়াল। এই মতটি হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (১৫১হি:) গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন: ‘রাসূলুল্লাহ সোয়াল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাতীর বছরে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন।’ এখানে লক্ষণীয় যে, ইবনে ইসহাক সীরাতুন্নবীর সকল তথ্য সাধারণত: সনদ সহ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু এই তথ্যটির জন্য কোন সনদ উল্লেখ করেন নি। কোথা থেকে তিনি এই তথ্যটি গ্রহণ করেছেন তাও জানান নি বা সনদসহ প্রথম শতাব্দীর কোন সাহাবী বা তাবেয়ী থেকে মতটি বর্ণনা করেন নি। এ জন্য অনেক গবেষক এই মতটিকে দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্য মতে রাসূলুল্লাহ সোয়াল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ ১৭ই রবিউল আউয়াল।
অন্য মতে তাঁর জন্ম তারিখ ২২ শে রবিউল আউয়াল।
অন্য মতে তিনি রবিউস সানী মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন।
অন্য মতে তিনি রজব মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। ।
অন্য মতে তিনি রমযান মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। ৩য় হিজরী শতকের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক যুবাইর ইবনে বাক্কার (২৫৬ হি:) থেকে এই মতটি বর্ণিত। তাঁর মতের পক্ষে যুক্তি হলো যে, রাসূলুল্লাহ সোয়াল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বসম্মতভাবে রমযান মাসে নবুয়ত পেয়েছেন। তিনি ৪০ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর নবুয়ত পেয়েছেন। তাহলে তাঁর জন্ম অবশ্যই রমযানে হবে।
যদি মীলাদ বা জম্ম দিবস পালন বৈধ হত তাহলে এত মতবিরোধের অবকাশ ছিল না।আর জম্ম দিবস পালন শুরু হয়
উবাইদ বংশের রাফেযী ইসমাঈলী শিয়াদের দ্বারা যারা ফাতেমী বংশের নামে আফ্রিকার উত্তরাংশে রাজত্ব স্থাপন করেন। ৩৫৮ হিজরীতে (৯৬৯ খ্রি:) তারা মিশর দখল করে তাকে ফাতেমী রাষ্ট্রের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলেন এবং পরবতী ২ শতাব্দীরও অধিককাল মিশরে তাদের শাসন ও কর্তৃত্ব বজায় থাকে। গাজী সালাহুদ্দীন আইঊবীর মিশরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের মাধ্যমে ৫৬৭ হিজরীতে (১১৭২খ্রি:) মিশরের ফাতেমী শিয়া রাজবংশের সমাপ্তি ঘটে। এই দুই শতাব্দীর শাসনকালে মিশরের ইসমাঈলী শিয়া শাসকগণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ২ ঈদ ছাড়াও আরো বিভিন্ন দিন পালন করতেন, তন্মধ্যে অধিকাংশই ছিল জন্মদিন। তাঁরা অত্যন্ত আনন্দ, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৫টি জন্মদিন পালন করতেন: (১) রাসূলুল্লাহ সোয়াল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন, (২) আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্মদিন, (৩) ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহার জন্মদিন, (৪) হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্মদিন ও (৫) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্মদিন। এ ছাড়াও তারা তাদের জীবিত খলীফার জন্মদিন পালন করতেন এবং ‘মীলাদ’ নামে ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মদিন (বড়দিন বা ক্রীসমাস), যা মিশরের খ্রিষ্টানদের মধ্যে প্রচলিত ছিল তা আনন্দ প্রকাশ, মিষ্টি ও উপহার বিতরণের মধ্য দিয়ে উদযাপন করতেন।
দেখা যাচ্ছে তবয়ে তাবেয়ীনদের অনেক পরে মীলাদ আনুষ্ঠানিকভাবে শিয়ারা উদযাপন করেছিল এবং হিজরী আটশত শতাব্দী পর্যন্ত সাধারণ মুসলমানরা পালন করতো না।

আমাদের দেশে তিনটি সন প্রচলন আছে ।আরবী,বাংলা,ইংরেজী।আরবী সন শুরু হয় মুহাররম থেকে এবং শেষ যিল কা'দায় ।আরবী মাস ঊনত্রিশ বা ত্রিশ দিনে হয় ,এক বছর হয় 355/356 দিনে।বাংলা সনের মাস হয় 30/31 দিনে,বছর হয় 365 দিনে এমনিভাবে ঈসায়ী সনের মাস 28/29/30/31 দিনে হয়, বছর হয় 365/366দিনে । এখন আপনি জম্ম দিনকে আসল ধরে পালন করবেন না তারিখকে আসল ধরে এবং কোন সন অনুযায়ী পালন করবেন?
যদি দিন ধরে পালন করেন তাহলে আগামী বছর এ তারিখ পাওয়া যাবে না ।যদি তারিখকে মূল ধরে পালন করা হয় তাহলে ও আগামি বছর এদিন পাওয়া না ,তাছাড়া আপনি কোন সনের তারিখ অনুযায়ী পালন করবেন?কোন একটিকে হয়তো প্রাধান্য দিবেন,কিন্তু কেন প্রাধান্য দিবেন?অপর সন দুটি দোষ করলো কী? আরবী সনে দশ দিন বেশ কম হবে ,এবং ঈসায়ী সনে ও প্রতি বছর একদিন বেশী হবে এবং প্রতি লিপ ইয়ারে দুদিন করে বেশী হবে এ ভাবে প্রতি বছরই বেশী প্রার্থক্য হতে থাকবে ।আর জম্মদিবসতো দুনিয়ায় আগমন উপলক্ষে হচ্ছে আর যে দিন সে এ ধরায় এ দিনতো জম্ম হয়নি ।অনেক মা এমন আছেন যারা সন্তান কোন দিন গর্ভে সন্তানের জম্ম হয়েছে ?সঠিক উত্তর দিতে পারেন না, আল্লাহ পাক বলেন তিনি জানেন যা কিছু গর্ভে আছে, আল্লাহপাক নারীদের ভ্রুণের সর্ব বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে ,বাচ্ছা কোন দিন মাতৃ গর্ভে এসেছে?এবং এ দ্বারা ভবিষ্যতে কী হবে আল্লাহর জানা আছে ।তাই নিশ্চিত জম্ম তারিখ মানুষের পক্ষে জানা অসম্ভব।তাই জম্ম দিবস পালন করা কিসের উপর ভিত্তি করে হবে?
ঈসায়ী সন হযরত ঈসা আ. এর জম্ম থেকে গণনা শুরু হয়েছে 01 02 করে বর্তমানে2017 সাল পর্যন্ত গড়িয়ে যাচ্ছে তথাপি কেউ এ কথা বলে না যে গত বছর ফিরে এসেছে
উপসংহারঃগত দিন গত মাস গত বছর কোনটাই ফিরে আসে না তাহলে জম্ম দিবস কিসের উপর ভিত্তি করে পালন করবেন?