সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

হিজরী সন গোড়ার কথা

হিজরী সনের গোড়ার কথা।
::--- শামসুল আবেদীন
ইসলাম ধর্ম আগমনের পূর্বে মক্কাবাসী সময়ের হিসাব নিকাশ প্রসিদ্ধ কোন ঘটনার দিকে লক্ষ্য রেখে গণনা করতো।এ কারণে নানা ঘটনার প্রতি লক্ষ্য করে ভিন্ন ভিন্ন ক্যলেন্ডার প্রচলন ছিল। হস্তি বাহিনীর ঘটনার পর তার দিকে লক্ষ্য রেখে গণনা শুরু করে। এভাবেই চলতে থাকে।আবু মূসা আশআরী রা. ইরাকের গভর্নর থাকা অবস্থায় উমর ফারুক রাদিআল্লাহু আনহু এর কাছে আবেদন করেন যে নানান সময় আপনার চিঠি আসে, কিন্তু তারিখ না থাকায় আগে পরের চিঠি চেনা কঠিন হয়ে পড়ে ।
উমর ফারুক রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  সাহাবায়ে কেরামদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
সবাই একমত পোষণ করেন যে স্বতন্ত্র তারিখ প্রবর্তন হওয়ার কিন্তু কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণনা শুরু হবে এ নিয়ে মতানৈক্য দেখা হয়। কেউ খেয়াল পেশ করলো যে হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জম্ম তারিখ থেকে গণনা শুরু করা হউক।
কিন্তু এ মন্তব্য এ কারণে প্রত্যাখ্যান করা হলো যে খৃষ্টানরা ঈসা আলাইহি সালামের জম্ম তারিখ থেকে গণনা শুরু করেছে তাই তাদের অনুসরণ করে জম্ম থেকে শুরু করা যায় না এছাড়াও তা জম্মদিন পালন করতে উৎসাহিত করতে পারে এজন্য এ প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
কেউ খেয়াল পেশ করলেন যে নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যু তারিখ থেকে গণনা শুরু করা হউক।এ প্রস্তাব ও এ কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয় যে এতে আবার জাহিলিয়্যাতের  যুগের কুপ্রস্তাব শোক দিবস পালন করতে উৎসাহিত করতে পারে।
কেউ কেউ খেয়াল পেশ করলো যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ওহি আসার সময় থেকে গণনা শুরু করা হউক। কিন্তু তাও কারণঃবশত প্রত্যাখ্যান করা হলো।
উমর ফারুক রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন হিজরত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।তাই হিজরত থেকেই আরবী তারিখ গণনা শুরু করা হউক।সবাই এ কথার উপর ঐক্যমত পোষণ করলেন।তাই আরবী সন হিজরী সন হিসাবে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কিন্তু নবী করীম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম রবিউল আউয়াল মাসে হিজরত করলে ও আরবী সনের প্রথম মাস রবিউল আউয়াল না হয়ে মুহাররম হল কারণ মুহাররাম মাসে প্রথম দলটি মদিনার দিকে হিজরত করেছিলেন ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন